বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৯ অপরাহ্ন
সাঈদ ইবনে হানিফ, কালের খবর :
যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার জামদিয়া ইউনিয়নের বারভাগ (দাড়িরপর) রাস্তার পাশ থেকে একবছরে মধ্যে প্রায় তিন লক্ষ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কর্তনের অভিযোগ উঠেছে একটি চক্রের বিরুদ্ধে । সূত্রে জানা গেছে , সামাজিক বনায়নের আওতায় ২০০০ সালের দিকে ১৫ বছর চুক্তিতে এই রাস্তার পাশের গাছ গুলো রোপণ করা হয়েছিল । ফলে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদারকি না থাকার কারণে প্রতি নিয়ত ছোটবড় গাছ কেটে সাবাড় করে চলেছে একটি চক্র। এবিষয়ে স্থানীয় লোকজন কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাইনি । তাদের দাবি কিছু দিন আগেও বড় বড় ৮ টি গাছ কেটে বিক্রি করেছে চক্রটি। এভাবে গত একবছরে প্রায় তিন লক্ষ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কর্তন করেছে ওই চক্রটি। বারভাগ গ্রামের ইনছার আলী, নুরুজ্জামান, রিজাউল ইসলাম সহ কয়েকজন বলেন, বিভিন্ন সময়ে যেসব গাছ কাটা হয়েছে তা এখনো দৃশ্যমান রয়েছে। এব্যাপারে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ,ও বন বিভাগ খোঁজখবর নিয়ে কোন প্রকার পদক্ষেপ নিয়েছে কি তাও জানা যায়নি । প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে,
২০০০ সালে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির আওতায় (বরভাগ দাড়িরপর) তিন কিঃ মিঃ রাস্তার দুপাশে ফলজ ও বনজ সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপন করা হয়। আর এগুলো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সে সময়ে তিনজন বেতনভুক্ত পাহারাদার নিয়োগ দেওয়া হয় । ১৫ বছর যাবত এই গাছ থাকবে বলে লিখত একটি (দলীল) চুক্তিপত্র করা হয় । যেখানে তিনজন পাহারাদারকে গাছের এক অংশ ভাগ দেওয়া হবে বলে উল্লেখ ছিল। ওই
পাহারাদাররা হলো– ১] ছবুরোন, ২] ছুটু বিবি ৩] শুশিলা রানী। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও ছুটু বিবি এবং শুশিলা রাস্তার গাছের তেমন কোন খোঁজখবর রাখেনি। কিন্তু ছবুরোন, দীর্ঘদিন ধরে মরা পড়া গাছ ভোগদখল করে আসছে । এমনকি নিজের আত্মীয় স্বজনদেরও রাস্তার গাছ কেটে ঘরবাড়ি তৈরি করার জন্য দিয়েছে বলে অনেকে অভিযোগ করেন।
বিষয়টি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য কতৃপক্ষ কিছুই জানেননা। ধারণা করা হচ্ছে, ২০১৫ সালে এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও ইউনিয়ন পরিষদ,বা বন বিভাগ কোন পদক্ষেপ নেয়নি গাছ কাটার। আর এই সুযোগে এলাকার একটি অসাধু চক্র প্রতিবছর লাখ লাখ টাকার গাছ চুরি করে বিক্রি করছে । এব্যাপারে সামাজিক বন বিভাগ, সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দ্রুত আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি সতর্ক দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন বলে মনে করছেন এলাকার স্বচেতন মহল।